প্রকাশিত: Sat, Apr 8, 2023 2:24 PM
আপডেট: Wed, Jun 25, 2025 4:03 AM

প্রথম আলোর প্রতি সমর্থন জিনিসটা গণতন্ত্রের চর্চা থিকা ঘটতেছে না

ব্রাত্য রাইসু : ফ্যাসিবাদবিরোধী অ্যাকটিভিস্ট ও বুদ্ধিজীবীদের একটা অংশ প্রথম আলোর সাম্প্রতিক বিপদের দিনে তাদের সমর্থন দিতেছেন। অথচ সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদ সাহেবরে যখন ২০১৯ সালে গ্রেফতার করা হইলো, তখন এই ফ্যাসিবাদবিরোধীরা নীরব ছিলেন। তখন কেন তারা চুপ ছিলেন আর এখন কেন সরব হইলেন, এমন একটা জনপ্রিয় জিজ্ঞাসা বেশ দেখতে পাই। এইটা একটা গণতান্ত্রিক জিজ্ঞাসা। এই জিজ্ঞাসা বা ঠেস এর একটা উত্তর হইলো, প্রথম আলোর প্রতি সমর্থন জিনিসটা গণতন্ত্রের চর্চা থিকা ঘটতেছে না। বরং ফ্যাসিবাদ বিরোধিতার জায়গা থাইকা ঘটতেছে।

অনেকেই থাকবেন যারা গণতন্ত্রের চর্চা করবেন না, সুতরাং সংগ্রামের সম্পাদক গ্রেফতারে তারা নীরব থাকতে পারবেন। এই সুবিধা অ্যাক্টিভিস্ট ও বুদ্ধিজীবীদের আছে। ফ্যাসিবাদ বিরোধিতা সবাই এক জায়গা থিকা করবে, তা হয় না। অর্থাৎ ফ্যাসিবাদ বিরোধিতার মধ্যে গণতন্ত্র অবশ্যই থাকতে হবে, এমন দাবি চলে না। অনেক মাথা গরম অ্যাক্টিভিস্ট ও বুদ্ধিজীবীরে দেখছি তারা এই রকম দাবি কইরা থাকেন। তারা ভুল করেন। আপনার ফ্যাসিবাদ বিরোধিতায় যারা যুক্ত হইলেন না তারাই ফ্যাসিবাদী, এমনটা বলা চলে না। যারা সংগ্রামের সম্পাদকের ব্যাপারে চুপ ছিলেন এখন প্রথম আলোর ব্যাপারে সরব হইছেন, তারাও ফ্যাসিবাদ বিরোধী হইতে পারেন। ভাইস ভার্সা। লেখক: কবি